ছড়িয়ে পড়া খবর ও ছবি ভুয়া কি-না যাচাই করুন খুব সহজেই.!
https://zee.gl/CNbWF
সাধারণত নামসর্বস্ব ওয়েবসাইট কিংবা লিংক ব্যবহার করে ভুয়া সংবাদ সবচেয়ে
বেশি ছড়ানো হয়। এজন্য কোনো সংবাদ কিংবা ছবি সামাজিক যোগাযোগে শেয়ার করার
আগে তার উৎস নিশ্চিত হওয়া জরুরি।যে কেউ ফটোশপের মাধ্যমে ছবি এডিট করে সামাজিক যোগাযোগে ছড়িয়ে দিতে পারে।
এক্ষেত্রে ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণে আন্তর্জাতিক ও একক সংস্থা ইন্টারনেট করপোরেশন ফর নেইমস অ্যান্ড নাম্বারের (আইক্যান) ওয়েবসাইটে গিয়ে (https://whois.icann.org/en) গিয়ে সংশ্নিষ্ট পোর্টাল সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নেওয়া যেতে পারে। আইক্যানের ঠিকানা থেকে জানা যাবে ওয়েবসাইটটি কবে কেনা হয়েছে, কে বা কোন প্রতিষ্ঠান ওয়েব ঠিকানাটির মালিক- যাবতীয় তথ্যই এখান থেকে পাওয়া যাবে। সাধারণত ভুয়া সাইটটি তৈরি করা হয় অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থে গুজব ছড়িয়ে দিতে যেটি হয়তো সম্প্রতিই কেনা হয়েছে। আবার সাইটটির প্রটোকল পদ্ধতি না http না https সেটিও জানা গুরুত্বপূর্ণ। কেননা এইচটিটিপি পদ্ধতির ওয়েবসাইট সবসময় ঝুঁকিপূর্ণ।
অনেক সময় জনপ্রিয় জাতীয় দৈনিক ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার বরাতেও ভুয়া খবর ছড়ানো হয়। খবরের সরাসরি লিংক না দিয়ে পুরো খবরটি স্ট্ক্রিনশট (ছবি) আকারে শেয়ার করা হয়। এ ধরনের স্ট্ক্রিনশট সাধারণত ভুয়া হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে সংশ্নিষ্ট দৈনিক কিংবা ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার ওয়েবসাইটে ঢুকে খবরটি যাচাই করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। ভুয়া ছবি সহজেই যাচাই করা যায়। ছবির উৎস এবং আসল নাকি নকল তা জেনে নিতে গুগলের সহযোগিতা নেওয়া যেতে পারে।
এক্ষেত্রে https://images.google.com ঠিকানায় ছবি বা ছবির লিংকটি সার্চ মেনুতে দিতে হবে। ছবিতে কোনোরূপ ঘষামাজা (এডিট) কিংবা কাটাছেঁড়া (ক্রপ) করা হয়েছে কিনা অথবা কোথাও কোনো পরিবর্তন করা হয়েছে কিনা এটি জানার জন্য অনলাইনে বেশ কিছু নির্ভরযোগ্য প্লাটফর্ম রয়েছে। প্ল্যাটফর্মগুলো দারুণ কাজ করে। এসব প্ল্যাটফর্মে ছবিটি তোলার তারিখ, স্থান জানা যায়। এটা শুধু ভুয়া ছবি শনাক্ত নয়; আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় ছবির উৎস এবং মান নিরূপণেও ব্যবহূত হয়। ঠিকানা :www.imageedited.com, www.tineye.com, www.fimdexif.com.
ছবির পাশাপাশি এখন ভিডিও আকারে ভুয়া খবর ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে ভিডিও যাচাইয়ে গুগলের ক্রোম ব্রাউজারে Invid টুলস ইনস্টল করা যেতে পারে। এরপর অনলাইনে শেয়ার হওয়া ভিডিওর লিংকটি ক্রোম ব্রাউজারে যুক্ত করে বিস্তারিত জানা যাবে। ভিডিও যাচাইয়ে প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামেনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের (https://citizenevidence.amnestyusa.or) থেকেও ভিডিওর উৎস সম্পর্কে জানা যাবে।
No comments