রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিটিআরসি কেন?

সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাসহ বিটিআরসির একটি দল কক্সবাজার এসেছে বৃহস্পতিবার । দলটিতে রয়েছেন মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর প্রতিনিধিরাও। 
আর শুক্রবার হতেই জেলাটির টেকনাফ ও উখিয়ায় রোহিঙ্গাদের মোবাইল ফোন ব্যবহার নিয়ে করণীয় ঠিক করতে সরেজমিনে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও আশেপাশের এলাকাগুলোতে পর্যবেক্ষণ-কার্যক্রম চালাচ্ছে দলটি। 
দলটির সদস্যরা দেখছেন রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প এলাকায় মোবাইল সিম বিক্রি, থ্রিজি-ফোরজি বন্ধ হয়েছে কিনা, এখানে যে ৩২টি রোহিঙ্গা ক্যাম্প রয়েছে সেখানে শক্তিশালী মোবাইল নেটওয়ার্ক জ্যামার কার্যকর হবে কিনা। 
সোমবার পর্যন্ত  কক্সবাজারে কার্যক্রম চালানোর কথা রয়েছে তাদের। 
এই সময়ে তারা অপারেটরগুলোর স্থানীয় এজেন্টদের সাথে বৈঠকে বসবেন যেখানে রোহিঙ্গা এলাকায় সিম ও  নেটওয়ার্ক সংশ্লিষ্ট ডিভাইস বিক্রির বিধিনিষেধ নিয়ে বলা হবে। 
এছাড়া অবৈধ এজেন্টদের তুলে দিতে স্থানীয় প্রশাসনকেও বলবেন তারা। রোহিঙ্গাদের মোবাইল ব্যবহার ঠেকাতে করণীয় নিয়ে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও রোহিঙ্গা ব্যবস্থাপনা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। 
এসব শেষে ঢাকা ফিরে দলটি করণীয় ঠিক করে এ বিষয়ে প্রতিবেদন টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে জমা দেবেন। 
বিটিআরসির সর্বশেষ সিদ্ধান্তে কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়া এলাকার রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে অনির্দিষ্টকালের জন্য দিন-রাতে সব সময় থ্রিজি ও ফোরজি মোবাইল ডেটা সেবা বন্ধ করা হয়েছে।
৯ সেপ্টেম্বর রাত ১০টার দিকে এ বিষয়ে মোবাইল অপারেটরগুলোকে ই-মেইলে নির্দেশনা দেয় বিটিআরসি।
এর আগের নির্দেশনা অনুসারে ওই দুই উপজেলায় শুধু রাতে থ্রিজি ও ফোরজি সেবা বন্ধ ছিল। তখন প্রতিদিন বিকাল পাঁচটা থেকে ভোর ছয়টা পর্যন্ত থ্রিজি ও ফোরজি সেবা বন্ধ রাখা হচ্ছিল।
বিটিআরসির পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত ওই দুই উপজেলার রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে থ্রিজি ও ফোরজি সেবা বন্ধ থাকবে। সেখানে টুজি চলবে।
তবে উপজেলার অন্যান্য জায়গায় শুধু দিনে দ্রুত গতির এ দুই সেবা মিলবে।
এর আগে গত ১ সেপ্টেম্বর এক চিঠির মাধ্যমে বিটিআরসি রোহিঙ্গারা যাতে মোবাইল ফোন সেবা না পেতে পারে সে বিষয়ে অপারেটরেদেরকে নির্দেশনা পাঠায়।
পরে ২ সেপ্টেম্বর বিটিআরসির কার্যালয়ে মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক বৈঠকে ১৩ ঘন্টার জন্য থ্রিজি ফোরজি বন্ধ রাখা এবং ওই এলাকায় নতুন করে সিম বিক্রি করার সিদ্ধান্ত হয়।
২০১৭ সালের আগস্ট থেকে বাংলাদেশে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা এসেছে এবং তাদের অধিকাংশের হাতেই মোবাইল ফোন রয়েছে।
বিটিআরসি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে অপারেটরদেরকে মিয়ানমার সীমান্তের ভিতরে চলে যাওয়া বাংলাদেশি মোবাইল টাওয়ারের নেটওয়ার্ক সীমীত করারও সিদ্ধান্ত হয়।

No comments

Theme images by compassandcamera. Powered by Blogger.